ওয়েব ডেস্ক: গবেষক ও বিনিয়োগকারীদের জন্য গবেষণা গ্রন্থ ‘ব্যাংকিং অ্যালমানাক’ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং দেশি-বিদেশি গবেষণা সংস্থা যারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করে তারা এ বইটিতে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য একসঙ্গে পাবেন। যা তাদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পেতে সহায়তা করবে। শুধু তাই নয় গ্রন্থটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট গভর্নেন্সের জবাবদিহিতার বিষয়টিকে আরও শক্তিশালী করবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) এক ওয়েবিনারে মাধ্যমে ব্যাংকিং অ্যালমানাক তৃতীয় সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং গ্রন্থটির এডিটোরিয়াল বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. নজরুল হুদা, নেদারল্যান্ডের বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত লিয়াকত আলী চৌধুরী, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমীন, বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এবং আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মমিনুল ইসলাম, জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. জামালউদ্দিন আহমেদ, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এফসিএ মো. খলিলুর রহমান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিপিআরসির পরিচালক সৈয়দ জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং ব্যাংকিং অ্যালমানাকের প্রকল্প পরিচালক ও সাপ্তাহিক শিক্ষাবিচিত্রার সম্পাদক আবদার রহমান বক্তব্য রাখেন।
হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ গবেষকদলের সম্পাদিত এটি ধারাবাহিক তৃতীয় প্রকাশনা। বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রম এবং আমানত, ঋণ, পারফরমেন্স, সেবা ও প্রোডাক্টের একটি তুলনামূলক চিত্র এক মোড়কে উঠে এসেছে এই গ্রন্থে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক নজরুল হুদা বলেন, করোনাকালীন সময়ে ১০০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য সন্নিবেশিত হয়েছে। কাজটি সহজ ছিল না। গ্রন্থটির ব্যাপক প্রচারণা দরকার। তাহলেই এ পরিশ্রম সার্থক হবে।
এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমীন গ্রন্থটিকে ব্যাংক আর্থিক খাতের একটি ‘তথ্যকোষ’ উল্লেখ করে বলেন, ব্যাংকিং অ্যালমানাক সম্পর্কে বিশিষ্ট গবেষক, ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদদের মতামত সংগ্রহ করলে গ্রন্থটি আরও সমৃদ্ধ হতো।
আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মমিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ স্যারের যোগ্য নেতৃত্বের কারণে করোনার সময়ের গ্রন্থটির প্রকাশ সম্ভব হয়েছে। এটি অনেক তথ্যকে একসঙ্গে করা হয়েছে।
জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. জামালউদ্দিন আহমেদ গ্রন্থটির ব্যাপক বিপণনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন প্রত্যেক ব্যাংকের লাইব্রেরিতে যাতে রাখা হয় সেই উদ্যোগ নিতে হবে।
মো. খলিলুর রহমান বলেন, অর্থের অভাবে এ উদ্যোগ যেন থেমে না যায় সে দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের আরও শক্তিশালী সহযোগিতা কামনা করেন।